রমজানের প্রথম রাতে আল্লাহ কি করেন

 প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্টে আমরা জানতে চলেছি যে রমজান মাসের প্রথম রাতে আল্লাহ তাআলা কি করেন। রমজান মাসে আপনি কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত রাখবেন শয়তানের ধোঁকা থেকে।



একটি সহিহ হাদিসে নবী করীম সাঃ  বলেছেন যখন রমজানের প্রথম রাত্রি তোমাদের মাঝে আগমন করে আল্লাহতালা সর্বপ্রথম যে কাজটি করেন তা হল তিনি জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেন। জান্নাতের দরজা গুলো খুলে দেন। এবং আল্লাহ প্রধান শয়তান গুলোকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। জিনেদের মতে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক খারাপ জিন ও শয়তানদেরকে বন্দী করে রাখেন


রমজানের প্রথম রাতে আল্লাহ কি করেন



তাদেরকে আপনার থেকে দূরে সরিয়ে দেন সুতরাং সারা বছর ধরে শয়তান যেভাবে আপনাকে প্রভাবিত করে আপনাকে ধোকা দিতে সক্ষম হয় কিন্তু এই মাসে আল্লাহ তাআলা শয়তানকে আপনাকে প্রভাবিত করতে বাধা তৈরি করে দেন। অর্থাৎ এই মাসে আল্লাহ আপনাকে শয়তানের উপর বিজয়ী হওয়ার ক্ষমতা দেন। যেমনটা আল্লাহতালা শয়তানকে উদ্দেশ্য করে পবিত্র কুরআনে বলেছেন আমার প্রকৃত বান্দাদের উপর তোমার কোন নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব থাকবে না তারা ব্যতীত যারা তোমাকে স্বেচ্ছায় অনুসরণ করে।




আর শয়তানের আহ্বানিক সেই সকল লোকেরাই সাড়া দিবে যারা অকৃতজ্ঞ। সুতরাং আপনি সারা বছর ধরেই শয়তানের উপর বিজয়ী হতে পারবেন তাদের আনুগত্য না করে এবং তাদের ধোঁকায় না করে এবং আল্লাহর আনুগত্য ও শুকরিয়া আদায়ের মাধ্যমে। কারণ যে ব্যক্তি তার উপর আল্লাহর অনুগ্রহ কে চিনতে পারে সে কখনো অশ্লীলতা ও পাপ কাজে জড়াবে না। ছোট হোক বড় হোক ইচ্ছাকৃত অথবা অনিচ্ছাকৃত কোন প্রকার পাপেই সে নিজেকে জড়াবে না




সেই ব্যক্তি নিজের মধ্যে কোন অশ্লীলতা খুঁজে পাবেন না। কারন সে জানে যে তার উপর আল্লাহর নেয়ামত রয়েছে। এ সকল নিয়ামতের জন্য যে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু রমজানে আল্লাহ শয়তানদেরকে আরও শৃঙ্খলা বদ্ধ করে দেন। এবং আল্লাহ আপনাকে তার নিয়ামত সম্পর্কে আরো সচেতন করেন। সুতরাং যখন আল্লাহ আপনাকে তার নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার তৌফিক দেন। আপনি যখন সারাদিন কৃতজ্ঞতা সহকারে তার শুকরিয়া আদায় করেন শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য রোজা রাখেন তখন আল্লাহতালা আপনাকে আপনার আমল করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য শয়তানদেরকে এই মাসে শিকলে বন্দি করে রাখেন।




তাই তারা আগের চেয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। অবশ্য তারা আগে থেকেই দুর্বল ছিল কিন্তু এখন তারা আরও দুর্বল। আমরা যদি জান্নাতের কথা চিন্তা করি তাহলে এটি স্বাভাবিক বিবেকের দাবি যে জান্নাত অবশ্যই থাকতে হবে। যদি জান্নাত থাকি এবং আমাকে জান্নাতে যেতে হয় তবে আমাকে কোনমতেই শয়তানের ধোঁকায় পড়া চলবেনা।



সুতরাং নবীজী সাঃ এখানে প্রথম যে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন তাহলেও এই মাসে আল্লাহ তায়ালা শয়তানদেরকে আবদ্ধ করে রাখেন। অতএব এখানে আপনার আর কোন অজুহাত নেই। এখন আপনি আর শয়তান কে দোষারোপ করতে পারবেন না। শয়তানের প্রভাবকে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে যে তারা সারা বছর আর আপনার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবেনা এটা দিয়ে শুরু হয় অতঃপর নবী করিম সাঃ  বললেন জাহান্নামের দরজা গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।



এবং তাদের একটি দরজাও এই মাসে খোলা হবে না। আপনাকে আর কোন লোভ দেখানোর দরকার নেই। আপনি যদি এইভাবে চিন্তা করেন আমরা যে পাপগুলো থেকে বাঁচতে সংগ্রাম করি সে সকল পথ অভ্যাস থেকে বেঁচে থাকার জন্য চেষ্টা করি সেগুলি থেকে রমজানের আগেই ফিরে আসতে হবে। আপনি রমজানের বাইরে অন্য সময়ের চেয়ে রমজানে পাক ও অবাধ্যতার প্রতি কম আকৃষ্ট হবেন। এত দ্বারা আমি যা বোঝাতে চাচ্ছি তা হল রমজানে আপনার মধ্যে আল্লাহর নাফরমানি করার ইচ্ছা বাড়বে না।




অধিকাংশ মানুষ হঠাৎ করেই রমজানে নতুন কোন পাপ করে না। সাধারণত আপনি রমজানে এমন কোন পাপ কাজ বা গুনাহের কাজ শুরু করেন না যা আপনি এর আগে করতেন না রমজান মাসে নতুন কোন পাপ কাজ শুরু করা এটা খুবই অস্বাভাবিক এবং অসম্ভব ঘটনা। পরম রমজান মাস আসলে আপনি চেষ্টা করেন আগের বদ অভ্যাস এবং গুনাহের কাছ থেকে বিরতি থাকতে। তাই জাহান্নামের নতুন কোন দরজা খোলা হয় না।



আপনার পাপীর জন্য জাহান্নামে নতুন করে কোন দরজা খোলা হবে না। আপনাকে কেবল আগের পাপগুলিকে সঠিকভাবে ছেড়ে দিতে হবে এবং রমজানে বেশি বেশি নেক আমলের দিকে অগ্রসর হতে হবে। প্রথমত আপনার নিজেকে যেটা জিজ্ঞাসা করতে হবে তাহলেও যে সকল গুনাহ এবং পাপ কাজ আমাকে জান্নাতের পথে বাধা তৈরি করে আমি সেই সব পাপ থেকে নিজেকে কতটা দূরে রাখতে পেরেছি।



আপনি কি ইলমের গুরুত্ব ও ফজিলত সমূহ কি তা জানেন যদি না জেনে থাকেন তাহলে এই বিষয়টি নিয়ে আমার মুল ওয়েবসাইটে আমি একটি তথ্যপূর্ণ পোষ্ট করেছি, আপনি যদি এই বিষয়ে কোন তথ্য পেতে চান তাহলে দোয়া করে লিঙ্ক দেওয়া আছে তার সাহায্য প্রবেশ করুন। আর এই বিষয়টি নিয়ে পূর্ণ তথ্য লাভ করুন আমি আপনার সাহায্যের জন্য রয়েছি। 

Post a Comment

Previous Post Next Post