ফেরেশতা দেখতে কেমন ও তাদের কাজ কি

 প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা জানতে চলেছি যে ফেরেশতা দেখতে কেমন ও তাদের কাজ কি?


ফেরেশতা শব্দটি ফারসি। আরবিতে ফেরেশতাকে একবচনে মালাকুন ও বহুবচনে মালাইকা বলা হয় ‌। এর অভিধানিক অর্থ বার্তাবাহক। ইসলামী পরিভাষায় ফেরেশতাদের পরিচিতি হল এমন এক নূরানী মাখলুক বা সৃষ্টি যারা বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করতে পারে। তারা কখনো আল্লাহর নির্দেশের বিরুদ্ধাচারণ করেনা বরং সর্বদা আল্লাহর নির্দেশ পালনে রত থাকেন। ফেরেশতারা নূর বা জ্যোতি থেকে সৃষ্টি। তারা সাধারণত অদৃশ্য অবস্থায় বিদ্যমান থাকে।


ফেরেশতা দেখতে কেমন ও তাদের কাজ কি



তাদের কোন আক্ষরিক বা বাস্তবিক আকার আকৃতি নেই। মানুষের চোখে তাদের দেখা বা সাক্ষাৎ সম্ভব নয়। তবে ফেরেশতারা আল্লাহর হুকুমে বিভিন্ন আকার আকৃতি ধারণ করতে সক্ষম। তারা মানুষের মতো রক্ত মাংসের সৃষ্টি নন তাদের কামনা-বাসনা ক্ষুধা তৃষ্ণা নিদ্রা তন্দ্রা কিছুই নেই। তারা সব সময় আল্লার ইবাদতে মশগুল ও আদেশ পালনে নিয়োজিত থাকেন।



মহান আল্লাহ যখন যা হুকুম করেন তারা তাই পালন করেন। এই পৃথিবীতে আল্লাহ তরফ থেকে রহমত অতঃপর শাস্তি যা কিছুই নাযিল হয় তা এই ফেরেস্তার মাধ্যমেই নাযিল করা হয়। আল্লাহতালা নবী রাসূলগণের প্রতি যে সব কিতাব নাযিল করেছেন তা তাদের মাধ্যমে নাযিল করেছেন। বিচার দিনের তারা বান্দার ভালো-মন্দের আমলের সাক্ষ্য দিবেন। ফেরেশতাদের প্রকৃত সংখ্যা সম্পর্কে কেবল আল্লাহ তালাই অবগত আছেন।




এই মর্মে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে আপনার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। চারজন বড় বড় ফেরেশতা সহ কিছু ফেরেশতার নাম বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানা যায়। 




যেমন প্রথম হযরত জিবরাঈল আঃ তিনি নবী রাসূলগণের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছানোর দায়িত্বে নিয়োজিত। তাকে রুহ বা রুহুল আমিনও বলা হয়। দ্বিতীয় হযরত মিকাইল আলাহিসসালাম তিনি সকল জীবের জীবিকা বন্টনের দায়িত্বে নিয়োজিত। তৃতীয় মালাকুল মউত তিনি সকল জীবের জীবন বা রুহ কবজ করা দায়িত্বে নিয়োজিত। চতুর্থ হযরত ইসরাফিল আলাইহি সালাম তিনি কিয়ামতের দিনে শিঙ্গায় ফুঁক ও দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। আল্লাহতালার হুকুম এর সাথে সাথে সিঙ্গায় ফুঁক দিবেন এবং তৎক্ষণাৎ পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এরপর কিয়ামত হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post