মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য তাকে ছেড়ে দিলাম

 হঠাৎ তাকে ছেড়ে দিলে কেন? আল্লাহর ভয়ে। কারণ বিয়ের আগে কোন পুরুষ এবং নারীর মাঝে সম্পর্ক রাখা অবৈধ প্রেম থাকে হারাম। আরে সম্পর্ক হবে কেন তোমরা তো জাস্ট কথাই বলতে। জাস্ট শুধু চ্যাট করতে। কোথাও তো একসাথে ঘুরতে যেতে না।কিন্তু হাদিসে এসেছে যখন কোন পর পুরুষের পর নারী একান্তে মিলিত হয় তখন সেখানে তৃতীয়জন হিসেবে শয়তান থাকে।




আর তাছাড়া কুরআন সূরা বনী ইসরাইলের ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন জেনার কাছে যেও না ওটা অত্যন্ত খারাপ কাজ এবং খুবই জঘন্য পথ। কিন্তু যতদূর জানি সে তো দিনদার আর তুমিও জানামতে সে কখনো তোমাকে খারাপ কাজে উৎসাহ দিত না। বরং তোমাকে আরো খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে বলতো। হ্যাঁ তা সত্যি। কিন্তু হারামি জড়িয়ে থাকলে কেউ দ্বীনদার থাকে না। এটা ঠিক যে সে কখনোই আমাকে খারাপ পরামর্শ দেয় নি সব সময় ভালো উপদেশ দিয়েছে।



মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য তাকে ছেড়ে দিলাম




আচ্ছা তোমার কষ্ট হয়না এভাবে তাকে ছেড়ে দিলে। আহ । কিন্তু কষ্ট হয় এই জন্য যে কেন আমি এতদিন হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলাম। আল্লাহর কাছে তওবা করেছি এখন করছি। কিন্তু কাউকে কাঁদিয়ে কেউ ভালো থাকে না তার চোখে পানি যদি তোমার জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় তখন? তাকে এভাবে কষ্ট দেওয়া কি ঠিক হলো? আল্লাহর অবাধ্য হয়ে মানুষকে খুশি রাখার মধ্যে কখনো কল্যাণ থাকতে পারে না। আর যতটুকু জানি সে কখনো এরকমটা করবে না।আমাকে ভুল বুঝবে না।




কিন্তু মাঝে মাঝে একটু খোঁজ নিতে পারো কেমন আছে কি খবর? খোঁজ নেওয়াটা শয়তানের এক ধরনের ওয়াসওয়াসা আর মাঝে মাঝে খোঁজ দেওয়া মানে নিজেকে দুর্বল করে ফেলা। হারামে আবার জড়িয়ে ফেলা। আচ্ছা এইভাবে আর কতদিন চলবে। যতদিন না আল্লাহ কিছু ফায়সালা করেন।

সূরা ইউনুস এর ১০৯ নাম্বারে আল্লাহ বলেন:

হে নারী তোমার কাছে ওহীর মাধ্যমে যে হেদায়েত পাঠানো হচ্ছে তুমি তার অনুসরণ কর। আর আল্লাহ ফয়সালা দান করা পর্যন্ত সবর করো। এবং তিনি সবচেয়ে ভালো ফয়সালাকারী।


অর্থাৎ আমি সবর করবো যতক্ষণ না আল্লাহ কিছু ফায়সালা করছেন। কিন্তু এভাবে কোনরকম যোগাযোগ না রেখে যদি সে তোমাকে ভুলে যায়? যদি ভুলে যায় যাক। কারণ এখানে তার থেকে আল্লাহর ভালবাসা আমার কাছ থেকে অধিক প্রিয়। কোনরকম যোগাযোগ নেই। এভাবে চলতে থাকলে যদি তাকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলো? আল্লাহ ভাগ্যে রাখলেই বিয়ে হবে। আর যোগাযোগ রাখলেই যে বিয়ে হবে তার কি কোন নিশ্চয়তা আছে।




আস্তাগফিরুল্লাহ। হারাম সম্পর্ক গুলো এভাবেই একদিন শেষ হয়ে যাবে। আহ্ আফসোস। যারা এখনো এই সম্পর্কে জড়িয়ে আছে কি হবে সেদিন এই প্রিয়জনটা কি পাশে থাকবে আল্লাহর সামনে? না অসম্ভব। হারাম কখনোই জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারবে না। যতক্ষণ না সে তওবা করে ফিরে আসে। ফিরে এসো আপন রবের কাছে। প্রেম নয় বিয়ে কর। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ কর।


Post a Comment

Previous Post Next Post